অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম ২০২২
কেমন আছেন সবাইভালোই আছেন জানি। আজকে আপনাদের সামনে নতুন পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।
Table of Contents
অঙ্গীকারনামা কী
অঙ্গীকারনামা কি ও অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম প্রতিটা মানুষের জানা অতি প্রয়োজন। অঙ্গীকারনামা হল সাধারনত যে দুই বা তার বেশি ব্যক্তি মিলে কোন কাজ করার আগে আইন মেনে একমত হয়ে যে চুক্তি করে তাকে অঙ্গীকারনামা বা চুক্তিপত্র নামা বলে ।
সাধারনত অঙ্গীকারনামা বিভিন্ন ব্যবসা করার আগে করা হয়ে থাকে বা কোন কিছু ক্রয় বিক্রয় করার সময় করা হয়ে থাকে। আমরা ব্যক্তি গত বিভিন্ন প্রকার লেনদেন করার আগে ও আমরা চুক্তিপত্র করে থাকি । যাতে করে ভবিষ্যতে কোন প্রকার সম্যসা না হয়।
অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
একটি অঙ্গীকার অনেকগুলি বিভিন্ন জিনিস হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে, তবে মূলত, এটি কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি বা প্রতিশ্রুতির বিবৃতি।
উদাহরণস্বরূপ, আপনার ব্যবসা আপনার সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভিন্ন কারণে মুনাফার একটি নির্দিষ্ট শতাংশ অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিতে পারে।
প্রায়শই, শিশুদের দল বা সংস্থাগুলিতে যোগদানের সময় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করতে বলা হয়, যেখানে তারা নির্দিষ্ট নৈতিক মান ধরে রাখার প্রত্যাশা করা হয়। তো এমন ধরণের প্রতিশ্রুতি এর জন্য যদি অঙ্গীকারনামা লিখতে চান তো নিচের বলা নিয়ম ফলো করুন।
- প্রতিশ্রুতি ফর্ম্যাট করা আপনার কীভাবে বিভাগগুলি ফাঁকা করে এবং কোন বিভাগগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে তা নিয়ে।
- পৃষ্ঠার শীর্ষে আপনি যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তার আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক নাম টাইপ করুন।
- একটি লাইন এড়িয়ে যান এবং প্রতিশ্রুতি কার্যকর হওয়ার তারিখটি টাইপ করুন। তারিখটি এই ফর্ম্যাটে লেখা উচিত: ফেব্রুয়ারী , ২০২২ এর এই ২৭ তম দিন।
- পরবর্তী বিভাগে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন কে অন্তর্ভুক্ত করুন, যা তারিখের নীচে এক লাইনের ব্যবধানে রয়েছে। এখন থেকে প্রতিটি বিভাগকে এক লাইন আলাদা করে রাখুন। এই বিভাগে অঙ্গীকারের সাথে জড়িত সমস্ত পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যদি লোকদের অঙ্গীকার স্বাক্ষর করতে বলছেন, তবে তাদের নাম পূরণের জন্য একটি ফাঁকা জায়গা ছেড়ে দিন।
ongikarnama lekhar niyom
- পরবর্তী বিভাগে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া সমস্ত কিছুর তালিকা করুন।
- স্বাক্ষর হওয়ার জন্য অঙ্গীকারের শেষে একটি ফাঁকা রেখা যুক্ত করুন। এটি ব্যক্তি বা কোনও কোম্পানির মালিকের দ্বারা স্বাক্ষরিত হতে পারে।
- সাক্ষীদের স্বাক্ষর করার জন্য স্বাক্ষর রেখার নীচে কয়েকটি স্থান অন্তর্ভুক্ত করুন। “নিম্নলিখিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে এই বিভাগটি লেবেল করুন:” এবং স্বাক্ষর করার জন্য কমপক্ষে দু’জন সাক্ষীর জন্য স্থান রেখে দিন।
চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম
চুক্তিপত্রের শর্তগুলি নিম্নে দেওয়া হলো-
- চুক্তি সম্পাদনকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই আইনের দৃষ্টিতে সাবালক, সুস্থ মস্তিস্ক সম্পন্ন ব্যক্তি হতে হবে।
- প্রত্যেক চুক্তিতে অবশ্যই একজন অপর একজনকে প্রস্তাব প্রদান করবে এবং
- অপর ব্যক্তি উক্ত প্রস্তাব গ্রহণে সম্মতি জ্ঞাপন করে কোন কিছু প্রতিদান করতে হবে।
- প্রতিদান ব্যতিত কোনো চুক্তিই কার্যকর হবে না ।
চুক্তি ভঙ্গের ক্ষেত্রে আইনগত আশ্রয় কিভাবে নিবেন-
যদি আপনি চুক্তিনামা উপরে উল্লেখিত নিয়মে করে থাকেন সে ক্ষেত্রে কেউ যদি চুক্তি ভংগ করে আপনি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
বাংলাদেশে প্রচলিত দণ্ডবিধির ৪২০ ধারা ও ৪০৬ ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সহজেই। আদালতে অভিযোগ প্রমাণ করাও সহজ হয়। টাকা ধার নিয়ে বা বাকিতে মাল নিয়ে টাকা পরিশোধ না করা প্রতারণা।
প্রত্যেকের মনে রাখা দরকার, অর্থই অনর্থের মূল। এই অর্থের কারণেই বন্ধু, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়। অনেক সময় সামান্য টাকার জন্য খুনোখুনির ঘটনাও আমাদের দেশে চোখে পড়ে।
কাজেই এখন থেকে প্রতিটি আর্থিক লেনদেনই লিখিত চুক্তির মাধ্যমে হওয়া উচিত। লেনদেনের দলিল বা ডকুমেন্টস থাকলে কেউ প্রতারণা করার সাহস পাবে না।
লিখিত চুক্তিপত্র থাকলে আইনের আশ্রয় নেওয়া যায়। যা মৌখিক কিংবা অলিখিত লেনদেনের ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না।
স্কুল ও কলেজে চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম অঙ্গীকারনামা লেখার নিয়ম
তো ভিজিটর গণ আশা করি পোস্ট টি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর এরকম পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই সাইট টি।
আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।
Tnx